‘উপযুক্ত ব্যক্তিকে সহায়তা দিয়ে টার্গেটিং প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে’ 

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি পরিকল্পনায় প্রান্তিক মানুষের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে আয়ে উন্নতির মাধ্যমে তারা ক্রমান্বয়ে সরকারি ভাতার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারেন। এছাড়া, শুধুমাত্র উপযুক্ত ব্যক্তি যাতে এ সহায়তা পান তা নিশ্চিতে টার্গেটিং প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বাংলাদেশে অনেক সময় একদিকে যার প্রয়োজন আছে তিনি বাদ চলে যান, অন্যদিকে যার প্রয়োজন নেই এমন ব্যক্তিকে ভাতা প্রদানের ঘটনা ঘটে থাকে। এর ফলে সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ সম্পদের অপব্যয় হয়। শক্তিশালী টার্গেটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ব্র্যাক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত ‘সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি জোরদারে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শামসুল আরেফিন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ খালেদ হাসান, এনজিও ব্যুরোর পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং জিও-এনজিও কোলাবোরেশন প্ল্যাটফরমের সদস্যসহ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

স্বাগত বক্তব্যে ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ বলেন, সরকার জিডিপির ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় করে। তবে বাংলাদেশের মতো দ্রুতগতিতে অগ্রসরমান দেশগুলোয় দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ সচরাচর পেছনে পড়ে যায়। এসব জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। তাদের এই কাজ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’র (এসডিজি) ‘কাউকে পেছনে ফেলে যাওয়া নয়’ শীর্ষক প্রতিশ্রুতি ও দারিদ্র্য বিমোচনে দায়বদ্ধতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শামসুল আরেফিন বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং সামাজিক নিরাপত্তা সিঁড়ির সমন্বয়ের মাধ্যমে পুঁজি ও প্রশিক্ষণ উভয়ই দেওয়া সম্ভব হবে। এর ফলে সেবাগ্রহীতা নিজেদের সম্পদ ব্যবহার করে আত্মনির্ভর হতে সক্ষম হবেন এবং বরাবরের মতো অতিদারিদ্র্য অতিক্রম করবেন।

প্রসঙ্গত, দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে জিও-এনজিও কোলাবোরেশন প্ল্যাটফর্ম। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১৩ জন প্রতিনিধি ও ১৭টি এনজিও এর সদস্য।