সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়: স্পিকার

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার  ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি তাঁর প্রজ্ঞা, মেধা, সৃষ্টিশীলতা ও দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে অনুসরণীয় হয়ে থাকবেন। সাজেদা চৌধুরীর অবদানের কথা জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে বলেও স্পিকার উল্লেখ করেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের তৃতীয় তলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার।সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী এমপি ও হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এমপি।

স্পিকার বলেন, সংসদ উপনেতা হিসেবে সাজেদা চৌধুরী অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ছিলেন শতভাগ অনুগত ও আস্থাশীল।

সাজেদা চৌধুরী ১৯৭৫ সালের কালো অধ্যায়ের সময়েও রাজনীতিতে মুজিবের রাজনৈতিক আদর্শকে সগৌরবে ধারণ করেছেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদসহ সব দায়িত্ব শতভাগ নিষ্ঠা ও কর্তব্য পরায়ণতার সঙ্গে পালন করেছেন আজীবন। এসময় স্পিকার সব নারীকে সাজেদা চৌধুরীর কর্মময় জীবন অনুসরণ করার আহবান জানান।সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

পরে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের ঈমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুফতি মো. আবু রায়হান।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্যরা এবং সংসদ সচিবালয়ের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।