কুমিল্লায় জহির হত্যা মামলা: আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন

২০০৭ সালে কুমিল্লা নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকায় রেস্টুরেন্ট কর্মচারী জহির মিয়া হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ কথিত প্রেমিককে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তারা হলো- মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী একই জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে শিরিন আক্তার ও তার কথিত প্রেমিক নগরীর ঝাঁকুনীপাড়া এলাকার মৃত কুমোদ চন্দ্র ভট্টাচার্যের ছেলে দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্য।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে রবিবার (২ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত  হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম।    

এর আগে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় জহির মিয়াকে স্যালাইনের সঙ্গে বিষাক্ত ওষুধ মিশিয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করিয়ে মুখে স্কচটেপ ও বালিশ চাপা দিয়ে চেপে হত্যা করা হয়। এরপর জহির মিয়ার বড় ভাই বাদী হয়ে মৃত জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তারসহ অজ্ঞতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে কুমিল্লা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জহিরের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে জহির মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার এবং তার কথিত প্রেমিক দুলাল চন্দ্র ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন।

পরে নিয়ম অনুসারে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করে। সেসব আবেদনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।