জার্মানির ‘কার্ল কুবেল পুরস্কার’ পেলেন ড. ইউনূস

জার্মানির কার্ল কুবেল পুরস্কার পেয়েছেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। জার্মান সংস্থা ‘ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলিজ’ এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। সোমবার (৩ অক্টোবর) ইউনূস সেন্টার থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলিজ জার্মানি, কসভো ও ভারতসহ এশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা করে থাকে। ১৯৭২ সালে কার্ল কুবেল নামে এক জার্মান উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনটি গঠন করেন। পরের বছর সেই উদ্যোক্তা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেন। সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থের বেশিরভাগই এই ফাউন্ডেশনে দান করে দেন।

এবছর ফাউন্ডেশনটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় জানিয়ে ইউনূস সেন্টার বলছে, কার্ল কুবেল পুরস্কারের মাধ্যমে ফাউন্ডেশন বিশ্ববাপী পরিবার-এর উন্নয়নে প্রফেসর ইউনূসের অসামান্য ও বহুমুখী অঙ্গীকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলো।

ফাউন্ডেশনটির সদর দফতর জার্মানির দক্ষিণ হেস-এর বেনশাইম শহরে। সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের স্লোগান ছিল ‘পরিবার গুরুত্বপূর্ণ’।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার ঘোষণাকালে কার্ল কুবেল ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পরিষদের ডেপুটি চেয়ার ড. কার্সটিন হুমবার্গ বলেছেন, ‘ড. ইউনূস তার অসংখ্য নারী গ্রাহকের সন্তান ও পরিবারের জন্য একটি অধিকতর সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করেছেন।’
 
ড. কার্সটিন বাংলাদেশি এই অর্থনীতিবিদের প্রশংসা করে আরও বলেন যে, ‘কোভিড-১৯, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, নতুন নতুন যুদ্ধ; পৃথিবীর নানাবিধ সংকটের সময় ইউনূস মানুষের জন্য আশার একটি বিশাল উৎস হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রফেসর ইউনূসকে তিনি পরিবর্তনের পথিকৃত ও আশা-স্রষ্টা হিসেবেও অভিহিত করেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই অন্যদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারি। সবাই সবসময় এখনও ভবিষ্যত পরিবর্তনের স্রষ্টা।’ 

সমাজসেবক কার্ল কুবেল ও প্রফেসর ইউনূসের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা উভয়েই ১৯৮০-র দশকে মানুষের উদ্যোক্তা সত্ত্বা বিকশিত করার মাধ্যমে সামাজিক লক্ষ্যগুলো নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেন এবং উভয়েই মানুষকে সহায়তা করতে এমন সুচিন্তিত পদ্ধতি প্রয়োগ করেন, যাতে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে সহায়তা করতে পারে। কুবেল ও ইউনূস উভয়েই ব্যবসায় উদ্যোগ-ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগিতার পথপ্রদর্শক।’