‘স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য মিরপুর-টঙ্গীতে আরও ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে সরকার’

গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন,  স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য সরকার মিরপুর ও টঙ্গীতে আরও ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে দিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় স্বল্প, মাধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিপুল সংখ্যক প্লট উন্নয়ন ও ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। রাজধানীর বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন,  ‘টঙ্গীর দত্তপাড়া এবং ঢাকার মিরপুরে এ ধরনের আরও  বড় দুটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্কে পিপিপির ভিত্তিতে নির্মাণ করা হবে ১৩ হাজার ৭২০টি ফ্ল্যাট।’

প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য ঢাকার মতিবিল, আজিমপুর, মালিবাগ, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি শহরে পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষি জমি রক্ষা পাবে। অপরদিকে সবার জন্য মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

শরীফ আহমেদ বলেন,  ‘১৯৮৬ সাল থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার জাতিসংঘভুক্ত সব দেশ বিশ্ব বসতি দিবস পালন করে আসছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—  ‘বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি,সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি।’

কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দফতর সংস্থার প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী  বলেন, ‘জাতির পিতা বাবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় আশ্রয়হীন ও ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসন শুরু করেন। ঢাকার বাউনিয়া বাঁধে তিনি বাস্তুহারাদের  বাসস্থানের জন্য ভূমি বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা নিহত হওয়ার পর এই কর্মসূচি স্থবির  হয়ে পড়ে। অবশেষে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সবার জন্য মানসম্মত আবাসন নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।’