‘প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন আকবর আলি খান’

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং প্রেরণার এক বিরল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন প্রয়াত আকবর আলি খান। বর্ণাঢ্য জীবনের কারণে মানুষের মনে শতবছর বেঁচে থাকবেন তিনি। সোমবার (৩ অক্টোবর) আকবর আলি খানের এক স্মরণসভায় সাবেক সহকর্মী ও গুণীজনেরা এমনটাই মূল্যায়ন করেছেন।

এদিন ‘ড. আকবর আলি খান: বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সমাজে তার অবদান’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এসএএনপিএ)।

এতে বক্তারা বলেছেন, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করেছেন আকবর আলি খান। সততার সঙ্গে চাকরিজীবন শেষ করে স্বাভাবিক অবসরে যান তিনি। অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেছেন, নানা ইস্যুতে দেশ ও দশের পক্ষে কথা বলেছেন। আমৃত্যু তিনি এভাবেই অবদান রেখে গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন আগামী প্রজন্মের কাছে।

ওয়েবিনারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন সরকারের সময় সৎভাবে প্রশাসনের নানা উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রঙ না বদলানো একজন আমলা অবসরের পরে লেখালেখি ও সঠিক কথা বলার জন্য আরও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, অনেকে আমলাদের পণ্ডিত হওয়া কিংবা পড়াশোনার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন। এই ধারণা যে সঠিক নয়, সেটি প্রমাণ করে দিয়েছেন আকবর আলি খান। তিনি আমাদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবেন।

সাবেক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আকবর আলি খান সকল বিষয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। সেগুলো মানুষ মনে না করলেও ১০০ বছর পরেও তার লেখা বইয়ের জন্য মানুষ তাকে স্মরণ করবেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে আকবর আলি খানসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চারজন উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। তার ওই সিদ্ধান্তে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তি বেশি লাভবান হয়েছে। অথচ তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শোক প্রস্তাব না দেওয়া দুঃখজনক।

ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন এম আমিনুজ্জামান।