ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। চেক প্রতারণার মামলায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টাবর) বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম আল আমিন জানান, গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মেহেদী হাসান খান বিজ্ঞাপন দেখে তিনটি মোটরসাইকেল, একটি মোবাইল ফোন ও কিছু গিফট কার্ড অর্ডার করেন এবং এ বাবদ আট লাখ ৫৪ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও আসামিরা তা সরবরাহ কর‍তে ব্যর্থ হন।

এরপর ৯ মার্চ ইভ্যালি পণ্যের সমমূল্যের একটা চেক প্রদান করেন। একই বছরের ৫ জুলাই চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে ১৪ অক্টোবর তাদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ২৮ নভেম্বর শামীম নাসরিন ও মো. রাসেলের বিরুদ্ধে বাদী মামলা করেন। আদালত আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। তবে তারা উপস্থিত না হওয়ায় গত চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানার পর তিন ধার্য তারিখ এ বিষয়ে প্রতিবেদন না আসায় আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, অস্বাভাবিক সব অফার দিয়ে দেশে ‘ভেলকি’ সৃষ্টি করেছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। আর এর ফলে দায় বেড়ে খাদের কিনারায় চলে আসে প্রতিষ্ঠানটি। অর্ডার করে ঠিক সময় পণ্য না পেয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এসব অভিযোগের পর গত বছর সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে। পরে শামীমা জামিনে মুক্তি পান। তবে শীর্ষ ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি।

আরও পড়ুন- 

ইভ্যালি চালুর তৎপরতা, আদেশের কপির অপেক্ষায় বোর্ড

ইভ্যালি আবার চালুর আবেদন সাবেক চেয়ারম্যান শামীমার

ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা