প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

বাংলা ট্রিবিউনে গত ২৫ অক্টোবর প্রকাশিত ‘ইউনিলিভারের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাধা দূর আমদানিকারকদের’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল)।

প্রতিবাদলিপিতে প্রতিবেদনে ভুল ও অসত্য কিছু তথ্য উল্লেখের দাবি করে ইউবিএল জানিয়েছে, এসব তথ্যের কোনও ভিত্তি নেই এবং এতে বাংলাদেশে ইউনিলিভারের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাংলাদেশের ভোক্তারা ইউনিলিভার সম্পর্কে ভুল ধারণা পেয়েছে।

ইউনিলিভারের পণ্য আমদানিতে বিভিন্ন আইনি বাধা দূর হয়েছে—প্রতিবেদনের এই তথ্যকে ভুল দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইউবিএল ২০০৬ সালে দুটি রিট পিটিশন দায়ের করে (রিট পিটিশন নং ৮৬৭৯ এবং রিট পিটিশন নং ৮৮৮৫) ব্র্যান্ডেড পণ্য আমদানি করা থেকে অননুমোদিত তৃতীয় পক্ষকে রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় শুল্ক বিভাগ এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে কাস্টমস অ্যাক্ট- ১৯৬৯ এর ১৫ ধারা মোতাবেক রিটগুলো দায়ের করা হয়।

ওই রিট আবেদনে উল্লেখিত ২১টি পণ্যে আদালত ইউনিলিভারের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন এবং অন্যান্য পক্ষকে বিরত রাখেন ‘কোনও ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ বা কোম্পানিকে, উভয় রিট পিটিশনে উল্লেখিত পিটিশনার কোম্পানি দ্বারা প্রস্তুতকৃত পণ্যের আমদানি থেকে’। এই রায় আপিল করা হয় এবং আপিল বিভাগ পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। গত ৩১ জুলাই আপিল বিভাগ আগের রায় কার্যকর করে আপিল খারিজ করে দেন। এর অর্থ শুধু ইউবিএল নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডগুলোর অনুমোদন/লাইসেন্সের কর্তৃত্ব রাখে ও ২১টি পণ্য/ব্র্যান্ড আমদানির অধিকার সংরক্ষণ করে।

প্রতিবেদনটি গত ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের দেওয়া রায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেটি রিট পিটিশন ৮৩০১/২০১০ এর সাথে সম্পর্কিত এবং এটি শুধু ইউনিলিভারের ৬টি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য, সব পণ্যের ক্ষেত্রে নয়। এছাড়া রিটটি মেইন্টেনাব্যালিটি’র কারণ দেখিয়ে খারিজ হয়ে যায়। আদেশটিতে উল্লেখ করা হয়নি যে, অননুমোদিত কোম্পানি কর্তৃক আমদানি আইনসঙ্গত অথবা অনুমোদিত।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য

রিট মামলার নথি ও মামলাটির দায়িত্ব পাওয়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) বক্তব্যের ভিত্তিতে নিউজটি প্রকাশিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন:

ইউনিলিভারের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাধা দূর আমদানিকারকদের