ধর্ষণ মামলার বাদী হওয়ায় ইউপি সদস্যকে হত্যা: সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

ধর্ষণ মামলার বাদী হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মামুন হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে। র‌্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিকুর রহমান স্বীকার করেছেন, ২০১১ সালের এ ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে গত ৩১ অক্টোবর (২০২২) তিনি ও তার সহযোগীরা মামুন হাওলাদারকে হত্যা করেন।

শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, এক নিকটাত্মীয়কে ২০১১ সালে  ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানের ভাই কামাল এবং ভাতিজা আসাদুলের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন হত্যাকাণ্ডের শিকার মামুন হাওলাদার। এ মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে তারা মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

মামুন হাওলাদার পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। শরীর ও মুখমণ্ডল কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে তার সহযোগী আরও ১০ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

র‌্যাব জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ২০০৩ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালের পর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বিভিন্ন ধরনের বিরোধের জের ধরে তার নানাবিধ অপকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি একাধিকবার কারাভোগও করেছেন।