আয়ের উৎস হতে পারে গৃহস্থালির বর্জ্য

গৃহস্থালির পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করে তা বিক্রির মাধ্যমে সল্প আয়ের মানুষের নিজেদের একটা আয়ের উৎস তৈরি করতে পারে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) হাজারীবাগের বালুরমাঠের বাড়ৈইখালী এলাকার ৬তলা বিল্ডিংয়ের নিচে গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে সার তৈরি, অংশীদারত্ব ও বাজারজাতকরণ বিষয়ক এক সভায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

সভার আলোচকরা বলেন, লালা শাক, আলুর খোসাসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে এই সার তৈরি। এসব জৈব সার নিজেদের স্বল্প আয়ের একটা উৎস হতে পারে। তারা বলেন, মানুষ বাড়ছে কিন্তু সম্পদ বাড়ছে না। তাই যেটুকু সম্পদ রয়েছে, তার বহুমুখী ব্যবহার করা দরকার।

রাসায়নিক সার ব্যবহারে শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপদান প্রবেশ করে মন্তব্য করে আলোচকরা বলেন, জৈব সার ব্যবহারের ফলে খাদ্যে কোনও ক্ষতিকারক উপাদান থাকে না। ফলে মানুষের শরীরে রোগবালাই কম হয়। তাই বর্জ্যকে সমস্যা হিসেবে না দেখে সমাধান হিসেবে দেখা দরকার।

বারসিকের উদ্যোগে বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপ্রধান হোসনে আরা বেগম রাফেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন নারী নেত্রী ও কবি কাজী সুফিয়া আখতার, লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আকমল হোসেন ও বারসিকের পরিচালক এ বি এম তৌহিদুল আলম।