মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ

মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে এজেন্সিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মালয়েশিয়া প্রবাসী তারেকুর রহমান বলেন, মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশে গত কয়েক বছর ধরে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ ছিল। অনেক বছর পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দেওয়া হলেও সরকারের অদূরদর্শিতা ও দালাল সিন্ডিকেটের কারণে এ শ্রমবাজারটি আবারও বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংগঠনটির সৌদি আরব শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম মমিন বলেন, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত-সহ বন্ধ থাকা মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার পুনরায় চালু করতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। প্রবাসে মারা যাওয়া কর্মীদের মৃতদেহ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে আনার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করাসহ বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।image(26)

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিরসহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান আল নাজির বলেন, প্রবাসীদের ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন করলে রেমিট্যান্সের বন্যা বয়ে যাবে দেশে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,  গত ৫ জুলাইয়ের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশ অনুযায়ী,  বাংলাদেশ থেকে কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে একজনের সর্বোচ্চ খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যেখানে মালয়েশিয়াগামী কর্মীর শুধু বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ খরচগুলো বহন করতে হবে। এর মধ্যে পাসপোর্ট খরচ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নিবন্ধন ফি, কল্যাণ ফি, বিমা, স্মার্ট কার্ড ফি, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উড়োজাহাজ ভাড়াসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। তার ১ মাস পর মালয়েশিয়া সরকার ৯ আগস্ট ২০২২ তারিখে ঘোষণা করে—মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নিজ খরচে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিবে। মালয়েশিয়া যেতে একজন কর্মীর ১ টাকাও লাগার কথা না অথচ এখন পর্যন্ত যতগুলো এজেন্সিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা প্রতিটি কর্মীর কাছ থেকে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ করে টাকা করে নিচ্ছে। এ প্রতিবন্ধকতার কারণে গত ৪/৫ মাসে মাত্র ১০ থেকে ২০ হাজার কর্মী পাঠাতে পেরেছে এজেন্সিগুলো। এতে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার আবারও হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দালাল সিন্ডিকেটের কারণে একের পর এক বিদেশে শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশ মহামূল্যবান রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।