সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকের ফসল কিনলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তো না: মেনন

অদৃশ্য সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‌‘সমবায় ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কিনলে এমন হতো না।’

বুধবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে ‘খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র কৃষকদের সংকট ও সমবায়ের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।

মেনন বলেন, ‘সেচসহ যাবতীয় কৃষিযন্ত্রের মালিকানা কৃষকের হাতে থাকলে প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে। তাই  কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলোর মালিকানাও সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকে দেওয়া উচিত।’

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, ‌‘সমবায় দিবসের স্লোগানের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। সমবায়ের পুরো ব্যবস্থায় অপরিসীম দুর্নীতিপরায়ণতা দেখা যায়। ২০০টি উপজেলায় স্থাপিত শস্য সাইলোর কর্তৃত্ব আমরা সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকের হাতে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলাম। সরকার তা গ্রাহ্য করেনি।’

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারাকাত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেছিলেন, সমবায় আন্দোলন হবে সাধারণ কৃষকের যৌথ সমবায়। অথচ ঋণখেলাপিরা পার পেয়ে যাচ্ছে, গরিব কৃষকের কোমরে দঁড়ি বেধে আটক করা হচ্ছে। আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের ফলে সাধারণ কৃষক সমবায়ের প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুর সমবায় দর্শন অনুযায়ী দেশ চলছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭২-এর সংবিধানে রাষ্ট্র ও সমবায় মালিকানাকে সুসংহত করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানার জমির পরিমাণ নির্দিষ্ট সীমায় নেওয়া হয়েছিল। আইনটির প্রকৃত সুফল কৃষক পায়নি। কৃষকের কথা মাথায় রেখে সমবায় আইনের আমূল পরিবর্তন করতে হবে।’

এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদার সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক সীমা জামানসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা।