মজুরি নির্ধারণের দাবিতে ৩০ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা

বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাকশ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। এই দাবিতে আগামী ৩০ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও শ্রমমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বশেষ মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মূল্যবৃদ্ধি, বাড়ি ভাড়া, যাতায়াত ভাড়া ও চিকিৎসা খরচ বেড়েছে। কিন্তু দেশের ৪০ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের মজুরি বাড়েনি। তাই শ্রমিকদের যৌক্তিক মজুরি নির্ধারণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে এবং নতুন করে বেতন বাড়ানোর আলোচনা চলছে। অন্যান্য শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদেরও মজুরি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কথা হলো, দেশর ৮৭ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি আজও বাড়ানো হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এবং মজুরি বোর্ড গঠনের জন্য ইতোমধ্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী, শ্রম সচিব ও সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও উদ্যোগ আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি ফারুক খান, সাফিয়া পারভীন, কোষাধ্যক্ষ নাসিমা আক্তার, আইনবিষয়ক সম্পাদক রবিউল চৌধুরী প্রমুখ।