গাজীপুরে কোনাবাড়ী থানার কাশিমপুর এলাকার গ্রীনল্যান্ড কারখানায় ডাইং সেকশনের শ্রমিক হৃদয়কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের নেতারা।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে সই করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী এবং বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশের সোয়েটার গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এএএম ফয়েজ হোসেন এবং গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের সংগঠক বিপ্লব।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার (২৮ জুন) সকালে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের নিরাপত্তাকর্মীরা হৃদয়ের হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে নির্মম নির্যাতন ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এদিন দুপুরেই তার মৃত্যু হয়।
এ খবর আশপাশের অন্যান্য গার্মেন্টসে ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ৪০০-৫০০ শ্রমিক টাঙ্গাইল-গাজীপুর সড়কে নেমে আসে এবং গ্রীনল্যান্ড গার্মেন্টসের সামনে গিয়ে কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের সহকর্মী হৃদয় হত্যার বিচার দাবি করেন। এ সময় তারা হৃদয়ের মরদেহের সন্ধান চাইলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে বলে জানানো হয়। সেখানে গিয়ে গিয়ে তারা মরদেহটি শনাক্ত করেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, হৃদয় হত্যার ঘটনাটি গার্মেন্টস সেক্টরে বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। দেশের সব শিল্পাঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা তাদের অধিকারের কথা বা কোন দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ এভাবে প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের নির্যাতন করে আসছে।
তারা আরও বলেন, হৃদয় হত্যার সঙ্গে শুধু কারখানার নিরাপত্তারকর্মীরা জড়িত নন, মালিকসহ কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অভিযুক্ত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কারখানার ভেতরের কোনও কক্ষে একজন শ্রমিককে বেঁধে এভাবে নির্যাতন করা যায় না। তাই যাদের নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ মদদে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে, তাদের সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।