নবীন নাবিকদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান নৌবাহিনী প্রধানের

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৭৭৮ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) খুলনার নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি কৃতি নবীন নাবিকদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, নৌবাহিনীর বি/২০২২ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. আশিকুল ইসলাম পেশাগত ও সব বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করেন। মো. ইসাহাক ইসলাম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. কাউসার হোসেন ছাব্বির তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করেন।

নৌবাহিনী প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী নৌবাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি নৌবাহিনীর এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উচ্চ মনোবল ও সাহস নিয়ে নবীন নাবিকদের একযোগে দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন।

তিনি জানান, নেভাল এভিয়েশনের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য সম্প্রতি দুটি নতুন মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সংযোজন করা হয়েছে। দেশীয় শিপইয়ার্ডে জাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা খুব দ্রুত নৌবহরে যুক্ত হতে পারে। এছাড়া, নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নৌবহরে বিদ্যমান জাহাসমূহের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আরও উন্নতমানের মিসাইল, গান এবং প্রযুক্তিসম্পন্ন অস্ত্র সংযোজনের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে এবছর দুটি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, তিনটি বৃহদাকারের ল্যান্ডিং ক্রাফট ট্যাংক (এলসিটি) কেনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি পেশা হিসেবে দেশ সেবা ও দেশ গড়ার পবিত্র দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নবীন নাবিকদের ধন্যবাদ জানান। সেইসঙ্গে তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজেদের নিয়োজিত করার পরামর্শ দেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌপ্রধান (পার্সোনেল), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডারসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।