৯৪ বার পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন

সাগর-রুনি হত্যার মোটিফ যথাযথ শনাক্তে সময় লাগছে: র‌্যাব

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৯৪ বারের মতো পিছিয়েছে। এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত সংস্থা র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি। এই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আমাদেরকে সময় দিয়েছেন।’

আদালত মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার পরবর্তী তারিখ আগামী ৪ জানুয়ারি ধার্য করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) এ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।

এ কারণে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ (৪ জানুয়ারি) নির্ধারণ করেন। আদালতের শেরেবাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন বিষয়টি জানিয়েছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি দম্পতিকে রাজধানীর নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছর ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের নতুন কোনও মোটিফ র‌্যাবের তদন্তে জানা গেছে কিনা—এমন প্রশ্নে র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘মামলায় নতুন কোনও মোটিফ নেই। প্রকৃত দোষীদের যথাযথ শনাক্ত করা (একচুয়ালি আইডেন্টিফাই) একটু কঠিন হচ্ছে। সেটার জন্য আমাদের তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছেন।’