ককটেল বিস্ফোরণ: বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর নামে পুলিশের মামলা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি আসিফ ওমর ফারুক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মওলা শাহিনসহ অন্যদের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছে। পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরমধ্যে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দীন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক মামলায় ১৫ জন এজাহারনামীয় ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বিএনপি সংশ্লিষ্ট তিন জন এই মামলায় গ্রেফতার রয়েছে বলেও জানিয়েছে পল্টন থানা পুলিশ।

মামলার এজহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ব্যক্তি বা সম্পত্তি ক্ষতি করার উদ্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৬ ধারায় করা হয়। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিরা সবাই বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে তিন জন আমাদের কাছে গ্রেফতার রয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে ডিভাইডারের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এর আগে বিকালে নয়াপল্টনে সমাবেশের সমর্থনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যেগে বিক্ষোভ মিছিল হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

এ বিষয়ে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকারি চক্রান্ত থেমে নেই। নয়াপল্টন এলাকাকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারের এজেন্সিগুলো নানা ধরনের নাশকতা ঘটাতে অবতীর্ণ হয়েছে। গতকাল এই কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এই বিস্ফোরণের পর পুলিশ আকস্মিকভাবে নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।’

মামলার অপর আসামিরা হলেন- তারিকুল ইসলাম, আবু বকর, আবু ছায়েদ পাটোয়ারী, পল্টন থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লিয়ন হোসেন অরফে লিয়ন হক, সরফুদ্দিন খান মুন্না, সেকেন্দার কাদির, মওদুদ আহমেদ, মাহবুবুর রহমান ইমতিয়াজ, নোমান খান, কাজী হাসিবুর রহমান, আরিফুল হক আরিফ, সালাউদ্দিন ও মো. জসিম।