ডিসেম্বরে গ্রেফতার ও আটক

ডিএমপির দাবি ১০১২, বিএনপির দাবি ১৪০০

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত সাত দিনে অন্তত ১ হাজার ৪০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে ডিএমপির দাবি, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১০১২ ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে পুলিশের টানাহেঁচড়ায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ। বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশের কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এক পরিকল্পিত নীলনকশায় মেতেছে আওয়ামী সরকার। সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচল তৈরি পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের বহিঃপ্রকাশ।’

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনসহ কয়েকজনের গাড়ি পুলিশ বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ গাড়ি ফেরত না দিয়ে পুলিশ তাদের হয়রানি করে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রধান উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক জানান, এ পর্যন্ত ১ হাজার ১২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭২৭ এবং আজ মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে ২৮৫ জনকে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) পুলিশ সদর দফতরের অপারেশন শাখার এক আদেশ অনুসারে দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও সব জেলার পুলিশ সুপারদের ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আদালত এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনা ও মহান বিজয় দিবস, বড়দিন এবং থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে চলমান অভিযানের পাশাপাশি আগামী ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরই অংশ হিসেবে গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ব্লকরেইড নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একই সঙ্গে হোটেল, মেস, হোস্টেল এবং প্রতিষ্ঠানে বিশেষ অভিযান শুরু হয়।