আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করতো তারা

প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক করে ইমোতে যোগাযোগ করে ঘনিষ্ঠ হয়। একপর্যায়ে তাদের একান্ত সময়ের ভিডিও ও আপত্তিকর ছবি ধারণ করে অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এমন একটি চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার কাফরুল থেকে তমালিকা আক্তারকে (২৪) এবং চট্টগ্রামের খুলসী থানা একটি এলাকা থেকে আবু সাঈদ রনিকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিআইডির মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসক সাইবার পুলিশ সেন্টারের ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন যে অজ্ঞাতনাম ব্যক্তি তার এবং তার সাবেক স্ত্রী মারিয়া ইসলাম নিকিতার একান্ত মুহর্তের ভিডিও তার টেলিগ্রাম এবং তার বর্তমান স্ত্রীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে টাকা দাবি করে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার তমালিকা আক্তার (২৪) ও অভিযোগকারীর সাবেক স্ত্রী মারিয়া ইসলাম নিকিতা পরস্পর বন্ধু এবং তারা দুজনেই বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে টাকার বিনিময়ে ইমু ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলের মাধ্যমে আপত্তিকর মুহূর্তগুলো গোপনে ধারণ করে রাখে। এই অভিযোগকারীর সাথে মারিয়া ইসলাম নিকিতা ভিডিও কলে আপত্তিকর মূহুর্তগুলো গোপনে ধারণ করে এবং সেই রেকডকৃত ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে অভিযোগকারীকে বিয়ে করতে বাধ্য করে। একসময় তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেলে মারিয়া ইসলাম নিকিতা তার বন্ধু গ্রেফতার তমালিকা আক্তার ভিডিওটি সরবরাহ করে। তমালিকা আবার এই ভিডিও চট্টগ্রামে অবস্থানকারী তার প্রেমিক আবু সাঈদ রনিকে সরবরাহ করে। আবু সাঈদ রনি এই ভিডিও অভিযোগকারী ও তার বর্তমান স্ত্রীকে টেলিগ্রাম ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে তাদের কাছে টাকা দাবি করে তাদের ব্ল্যাকমেল করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থান করে এই অভিযোগকারী ছাড়াও আরও অনেকের সঙ্গে এভাবে ইমু ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কলে আপত্তিকর মুহূর্তগুলো রেকর্ড করে রেখে তাদের ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।