পল্লবীতে ‘প্রকাশ্যে হত্যার’ মামলায় মুক্তি পেলেন সাবেক এমপি এমএ আউয়াল

রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে (৩৩) ‘প্রকাশ্যে হত্যার’ মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং গণতান্ত্রিক ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান এমএ আউয়াল।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এমএ আউয়ালের ছোট ভাই আবদুস সালাম এ কথা জানান।

গতকাল সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ২০২১ সালের ২০ মে এমএ আউয়ালকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তারপর থেকেই কারাগারে ছিলেন তিনি। 

জানা গেছে, সাহিনুদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে অভিযুক্ত সুমন ও টিটুসহ ১৪-১৫ জন তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়। এ সময় সাহিনুদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে নিয়ে ফের কুপিয়ে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। ছেলের সামনেই নৃশংসভাবে খুন হন সাহিনুদ্দিন।

সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল জড়িত আছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাহিনুদ্দিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন নিহতের মা আকলিমা বেগম।

এমএ আউয়াল ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এবং তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব। তিনি তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব থাকাকালে ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনীত হন।

 

আরও পড়ুন...

সাবেক এমপি আউয়াল গ্রেফতার