সমাবেশ মাঠে পানি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ মাঠে আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির সমাবেশ। এই সমাবেশ সফল করার জন্য শুক্রবার রাতেই সেখানে হাজারো নেতাকর্মীর ভিড় দেখা গেছে। তবে এরই মধ্যে পানি নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়েছেন সমাবেশে আশা নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, পানি না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বাঁশ নিয়ে তেড়ে আসেন পানি না পাওয়া ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, গাড়ি থেকে পানি নিতে যাওয়ায় তাদের পানি নিতে দেয়নি দায়িত্বে থাকা লোকজন। এ কারণে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ায় লিপ্ত হন তৃষ্ণার্ত নেতাকর্মীরা।

শরীফ নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের এক কর্মী বলেন, ‌‘‌আমাদের সবার খুব পানির পিপাসা লেগেছিল। আশেপাশের দোকানে পানি ছিল না। হঠাৎ দেখলাম সমাবেশ মাঠে একটা পানিভর্তি গাড়ি প্রবেশ করেছে। এক বড় ভাই গাড়ি থেকে পানি নিতে যাওয়ায় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন পানি সরবরাহে নিয়োজিতরা। প্রথমে ভেবেছিলাম ভুলবশত হয়েছে। পরে পানির একটা কেস আনা হলে গাড়ি থেকে একজন লোক ছুটে এসে আমাদের কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এটি আমাদের সিনিয়র নেতাকর্মীদের কাছে খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‌‘সমাবেশ সফল করার জন্য আমাদের নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল থেকে বিশ লাখ টাকা সহযোগিতা করা হয়েছে। অথচ আমাদের তারা এক কেস পানি দিতে ঝামেলা করছিল। এ কারণে হাতের কাছে থাকা বাঁশ নিয়ে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী তেড়ে গেছেন। তবে এখানে কোনো ধরনের মারামারি হয়নি, শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়কের হস্তক্ষেপে বিষয়টির তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়েছে।’ এ নিয়ে সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

পানির দায়িত্বে থাকা পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‌‘ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্দেশনায় আমরা এই সমাবেশ মাঠে পানি নিয়ে এসেছি। আমাদের পর্যাপ্ত পানি মজুত আছে। দুই লাখের বেশি পানি গোডাউনে পড়ে আছে। আমরা গাড়ির জন্য আনতে পারছি না। যে গাড়িতে করে আনতে যাই সেই গাড়িই পুলিশ আটকে রেখে দেয়। আমাদের অনেক পানি এবং খাবার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে, সমাবেশ মাঠে আনতে দেয়নি। যার কারণে এখনও মাঠে পর্যাপ্ত পানি এসে পৌঁছায়নি।’

পানি নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‌‘এখানে পানি এনে দায়িত্বে থাকা লোকজনদের বুঝিয়ে দিতে হবে আমাদের। কিন্তু এর আগেই সমাবেশে থাকা লোকজন ট্রাক থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানে মূলত তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, আমরা বুঝিয়ে দেওয়ার পর আপনারা আপনাদের ইচ্ছেমতো পানি নিতে পারবেন। কিন্তু তারা তা শোনেননি। মূলত এটাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়েছে। সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। বেশি কিছু হওয়ার আগেই ঝামেলা মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে অবশ্য তাদের পানির বেশ কয়েকটি কেস দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’