ছবিতে রাজধানী ঢাকায় মেসির বিশ্বজয়ে ভক্তকুলের উচ্ছ্বাস

১৯৮৬ থেকে ২০২২। ৩৬ বছর। এই এত বছরে পারানা নদীতে জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এক কোপা ছাড়া বলার মতো আর কোনও গল্প ছিল না। বিশ্বকাপ এলেই যেন মেসিদের পৃথিবীটা দুলতে শুরু করতো। অবশেষে মন্দা, ক্ষুধা, মহামারিতে অহরহ ঘুরপাক খাওয়া পৃথিবীটায় আচমকা নামলো আকাশি নীল-সাদা বসন্ত। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ফরাসিদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

টাইব্রেকারে চতুর্থ গোলের সঙ্গে সঙ্গেই কাতারের লুসাইল স্টেডিয়াম যেন ফেটে পড়লো উল্লাসে, রূপ নিল আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসে। তাদের চিৎকার যেন আকাশই ছুঁয়ে যায়। এমন উল্লাস হবেই বা না কেন! এ দিনটির জন্যই আর্জেন্টাইনদের কত বছরের প্রহর গোনা। ম্যারাডোনার পর মেসি যে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দিলেন!

লুসাইলসহ সারা বিশ্ব যখন এমন উন্মাদনায় হতবিহ্বল, তখন বাংলাদেশের রাজধানীতে নেমে এল বিশ্বকাপের প্রতিধ্বনী। যেন এক টুকরো আর্জেন্টিনা টিএসসিসহ পুরো রাজধানী। ভক্তকুলের হৃদয়ের সিংহাসনে যাকে ঠাঁই দিয়েছে, সেই প্রিয় মেসির খেলা দেখতে, মেসির হাতে ট্রফি দেখতে এদিন সবাই যেন বুঁদ হয়ে বসে রইল জায়ান্ট স্ক্রিনের পর্দার সামনে। চোখ যেন সরে না। রোমাঞ্চ বললেও ক্লিশে হয়ে যাবে, যা দেখেনি আগের প্রজন্ম, তার সবটুই দেখেছে এ প্রজন্ম।

অনেক নাটকীয়তার পর যখন কাঙ্ক্ষিত ট্রফি হাতে মেসি, তখন চারদিক প্রকম্পিত মেসি বন্দনায়। চোখের শান্তি, মনের শান্তি নিয়ে স্লোগানে-মিছিলে বাড়ি ফিরে যান সবাই। ছবিতে দেখা মিললো সেসব আনন্দঘন মুহূর্তের।