আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া বন্ধের ঘোষণার নিন্দা

তালেবান সরকার আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় এর নিন্দা, ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বিভিন্ন সংবাদ ও গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের অধ্যয়ন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর এ ধরনের নির্দেশে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

এতে আরও বলা হয়, তালেবান ক্ষমতায় যাওয়ার পরই আফগানিস্তানের শিক্ষাখাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। গত বছর তালেবান ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষায়তনে নারীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে সীমিত করে এবং নারীদের জন্য পৃথক শ্রেণিকক্ষসহ বিকল্প যাতায়াতের পথ বেঁধে দেয় তালেবান প্রশাসন। এছাড়া কারা নারীদের পড়াতে পারবেন আর কারা পড়াতে পারবেন না তাও নির্ধারণ করে দেয় তালেবান সরকার।  এরপর এই  নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর হলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় আফগান নারীদের প্রবেশাধিকার আরও সীমাবদ্ধ করে ফেলবে। কেননা ইতোমধ্যেই আফগান নারীরা মাধ্যমিক শিক্ষা থেকে বাদ পড়ছে।

মহিলা পরিষদের মতে, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকার রক্ষায় প্রতিটি দেশের সরকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অথচ আফগানিস্তানের নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দেশটির তালেবান সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই নির্দেশনার ক্ষতিকর  নেতিবাচক প্রভাব  বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পড়বে। তাই আমরা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই মানবাধিকার পরিপন্থী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিলম্বে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে দেশটির নারীদের উচ্চ শিক্ষার পথ প্রসার করার জন্য  আফগানিস্তানের তালেবান সরকার প্রধানের প্রতি জোড় দাবি জানায়।

আরও পড়ুন-

তালেবান শাসনে কেমন বোধ করছেন আফগান নারীরা?

এবার নারী মন্ত্রণালয়ে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো তালেবান