প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের শীতবস্ত্র বিতরণ

৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলকায় শীতার্তদের মাঝে প্রায় দুই হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়।

শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগকে তাদের কর্মের জন্য ভালোবাসি। যখন কৃষকের ধান কাটার লোক থাকে না তখন ছাত্রলীগ তাদের ধান কেটে দেয়। দেশের যেকোনও দুর্যোগে ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। করোনার সময় মানুষের মাঝে অক্সিজেন দিয়ে সেবা দিয়েছে ছাত্রলীগ।’ বিগত কয়েক বছর ছাত্রলীগ যেভাবে সব দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, যেভাবে নিজেদের সুসংগঠিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হতে পেরেছে ঠিক সেভাবেই আগামী দিনও যেন ছাত্রলীগ মানুষের পাশে দাঁড়ায় সেই আহ্বান জানান তিনি। এ সময় তিনি দেশব্যাপী দুস্থ-অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য আরও পাঁচ হাজার কম্বল অনুমোদন দেওয়ার কথা জানান।

শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়ায় ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ছাত্রলীগ মানে একটি অনূভুতি ও প্রত্যয়ের নাম। জাতির পিতা এভাবেই তার সংগঠনকে গড়ে দিয়েছেন। যেকোনও প্রতিকূল পরিবেশে দেশ রক্ষার্থে রুখে দাঁড়ানোর অদম্য নাম ছাত্রলীগ।’ ঐতিহ্যকে ধারণ করে প্রতিবারের মতো আগামী দিনেও ছাত্রলীগকে এভাবে সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ একটা সময় অলীক কল্পনা হলেও এখন তা বাস্তব। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’ বঙ্গবন্ধু কন্যার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। আজ আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। ইতোমধ্যে ৫ কোটি শিক্ষার্থী স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা স্মার্ট ক্যাম্পাস ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলছি। শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও সংকটে আমরা পাশে থাকবো।’