মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ডিএনসিসি

যারা মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টারে লাগিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি মেট্রোরেলে একটি গ্রুপ পোস্টার লাগাচ্ছে। এর ফলে এর সৌন্দর্য হারাচ্ছে। গত সপ্তাহে আমি পোস্টার না লাগানোর বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলাম যে যত্রতত্র পোস্টার লাগালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আগামী সপ্তাহে পরিদর্শনে বের হবো।

তিনি বলেন, যারা পোস্টার লাগাচ্ছে তারা একবারও কি চিন্তা করেছে যে পোস্টার লাগালে শহরটা দেখতে কেমন হবে? এখন তো ডিজিটালই প্রচার প্রচারণা চালানো যায়। পোস্টার কেন লাগাতে হবে?

সম্প্রতি ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল লাইনের মতিঝিল অংশে পরিদর্শন করে দেখা যায় দৃষ্টি নন্দন এ স্থাপনার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে সৌন্দর্য হানি করা হয়েছে। মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত পরিদর্শন করে দেখা যায়,  এ জায়গার পিলারগুলোতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোস্টার লাগানো হয়েছে। যদিও বিভিন্ন পিলারে সতর্কবার্তা লেখা আছে।

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,  দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো ( নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১২ অনুসারে যেখানে সেখানে পোস্টার লাগানো একটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইনটি বাস্তবায়ন করে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সৌন্দর্যহানির হাত থেকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনের আগামী বোর্ড সভায় ওয়ার্ডগুলোর কোথায় পোস্টার লাগানো যাবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

তিনি কোচিং সেন্টারগুলোর দেয়ালে পোস্টার লাগানোর তৎপরতার সমালোচনা করেন এবং অভিভাবকদের এসব সেন্টারে বাচ্চাদের না পাঠাতে অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন,  এমনিতেই আমাদের শব্দ ও বায়ু দূষণের শহর। এরপর যদি পোস্টারের শহর হয়ে যায় এটি হবে খুবই দুঃখজনক। আমি অভিযানের সময় দেখবো কার কার পোস্টার লাগানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- নিজ খরচে পোস্টার সরাতে মিলনকে ডিএনসিসির চিঠি