চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের জট নেই: নৌ প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে কোনও কন্টেইনার জট নেই বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। রবিবার (৮ জানুয়ারি) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন তিনি।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানিকারকদের ব্যাংক হতে ডকুমেন্ট পেতে দেরি হলে, শুল্ক পরিশোধে জটিলতাজনিত কারণে কখনও কখনও আমদানিকৃত পণ্য ফ্রি টাইমের মধ্যে খালাস না করে চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে ফেলে রাখে। এতে কন্টেইনার সংরক্ষণে সাময়িকভাবে ইয়ার্ডে স্থান সংকট দেখা দিতে পারে। ফলে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’

ভোলা-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমদানিকারক, বন্দর ব্যবহারকারীদের সুষ্ঠু সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২৪/৭ খোলা রাখা হয়েছে।’

ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী জানান, সারাদেশে নিবন্ধিত প্রায় ১৪ হাজার নৌযান রয়েছে। ২০১৮ সালে প্রণীত বিধিমালা অনুসারে সারাদেশে ১০৪টি নৌরুট রয়েছে বলে জানান তিনি।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। একই অর্থবছরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের রাজস্ব আয় ছিল ৩১৭ কোটি ৮ লাখ টাকা।’

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৮১ লাখ টাকার ৮৮টি ক্রেন সংগ্রহ করা হয়েছে। চলতি অর্থ-বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ১৮৬ কোটি ২০ লাখার নতুন ৪২টি ক্রেন সংগ্রহের পরিকল্পনা সরকারের আছে।