মানবপাচারবিরোধী জাতীয় কর্মপরিকল্পনার সময় বাড়ছে

মানবপাচারবিরোধী জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এই সময়ের মধ্যে বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হবে যাতে অপরাধীদের শায়েস্তা করার বিষয়টি জোরদার হয় এবং পাচার থেকে রক্ষা পাওয়া ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা ও তাদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তা করা যায়।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সংশোধন ও সম্প্রসারণের জন্য আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র দাসত্ব ও মানবপাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রকল্প ‘ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ এর অধীনে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবপাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি তাদের দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করা ও মানবপাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে পরিচালিত ‘ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪০০ এরও বেশি বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ট্রাইব্যুনাল কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী এবং স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-প্রতিরোধকারী কমিটির তিন হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।