উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ডিসিদের ক্ষমতা চাওয়া অযৌক্তিক: আইইবি

জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এ ডিসিরা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলন প্রস্তুত, ডিজাইন ও তদারকিসহ প্রকল্পের আর্থিক ব্যয়ের ক্ষমতা চাওয়ার যে প্রস্তাব রেখেছেন, তা অযৌক্তিক অভিহিত করে প্রতিবাদ জানিয়েছে  পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান  ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ডিসিদের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে তা অবাস্তব ও অযৌক্তিক। এরকম দাবি উত্থাপন করে ডিসিরা বিদ্যমান প্রকিউরমেন্ট আইন লঙ্ঘন করতে চাচ্ছেন। পিপিআর ২০০৮ এর বিধি-১২ এর আলোকে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পূর্ত কাজগুলো কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন প্রকৌশল সংস্থা গণপূর্ত এবং এলজিইডি বাস্তবায়ন করে থাকে।

এতে আরও বলা হয়, ‘ডিসিদের মতামত দেখে মনে হচ্ছে, কারিগরি প্রকল্পের প্রাক্কলন প্রস্তুত, ডিজাইন, তদারকি ও গুণগতমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের পরিবর্তে ডিসিরা বেশি পারদর্শী। ডিসিরা বলেছেন, প্রকৌশলীদের মাধ্যমে প্রকল্পের প্রাক্কলন, ডিজাইন, মনিটরিং ও গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হয়।  আইইবি মনে করে, এ ধরনে মন্তব্য চরম ধৃষ্টতার শামিল।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ডিসিরা তাদের সমন্বয়কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করলে প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ডিসিদের এই ধরনের দাবির বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারির আদেশ স্থগিত করার মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। তাদের প্রস্তাবে প্রকৌশলীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রকৌশলীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন- ২০২৩ এ ডিসিদের উপস্থাপিত উল্লেখিত প্রস্তাব বিবেচনা না করার জন্য সরকারের কাছে আইইবি জোর দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে দেশের প্রকৌশলীরা একযোগে জোরালো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। 

উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আইইবির প্রেসিডেন্ট নূরুল হুদার নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রকৌশল সংস্থার প্রধানদের এক জরুরি সভা হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আইইবির সার্ভিসেস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইইবি'র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রকৌশল সংস্থার প্রধানসহ শতাধিক প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।