তিন সরকারি দফতরে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি সরকারি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে এসব অভিযান চালানো হয়। এছাড়া তিনটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনটি সরকারি দফতরকে চিঠি দিয়েছে দুদক।

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক জানান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহসহ এবং অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট টিম রবিবার (২৯ জানুয়ারি) একটি অভিযান পরিচালনা করে।

তিনি জানান, অভিযানের সময় দুদক টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে। তিতাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এনফোর্সমেন্ট টিম জানতে পারে, দেশে মোট ৫টি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৪৩টি সিএনজি স্টেশন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় রয়েছে। যার ২১টি সিএনজি স্টেশন তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির। এই ২১টির মধ্যে ১১টি ডিসকানেক্ট করা হয়েছে।

অপরদিকে, বাগেরহাটের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি এবং দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদকের বাগেরহাট কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম পরিচালিত হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে একজন দালালকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হয়। ওই অফিসের সদ্য যোগদান করা উপ-সহকারী পরিচালক ঘুষ, দুর্নীতি ও দালালদের হয়রানি বন্ধ এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে এনফোর্সমেন্ট টিমকে প্রতিশ্রুতি দেন।

কিশোরগঞ্জ সদরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে অবহেলা ও অফিস সময়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগে দুদকের কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় টিমের সদস্যরা সাধারণ সেবা গ্রহীতা ও দর্শনার্থীর ছদ্মবেশে হাসপাতালের আউটডোর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে এবং সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় রোগীরা হাসপাতাল থেকে পর্যাপ্ত ওষুধ না পাওয়া, নার্সদের স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি অভিযোগগুলোর প্রথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

হাসপাতালের সেবার অবস্থা বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে টিম কথা বললে পরিচালক কিছু অভিযোগ স্বীকার করে নেন এবং দ্রুততম সময়ে সেবার মান উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দেন।