বইমেলায় শেষ মুহূর্তে চলছে স্টল সাজানোর কাজ

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পেরোলেই শুরু হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এ মেলাকে কেন্দ্র করে সাহিত্য জগতে লেখক ও পাঠকের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি হয়। বইপ্রেমীদের পদচারণে মেলাপ্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।

কোভিডের ভয় কাটার পর ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বইমেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেবার প্রথম দিনেই স্টলের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি অর্ধশত প্রকাশনী, যদিও শ্রমিক-সংকট ছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রকাশকরা। পরের বছর ২০২২ সালেও দেখা গেছে একই চিত্র। সেবারও মেলার দ্বিতীয় দিনেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ।

এবার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি থেকে ৩০ জানুয়ারি দুপুরের মধ্যে স্টল-প্যাভিলিয়নের সব কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও ৩১ জানুয়ারি শেষ বিকালেও কাজ শেষ করতে পারেনি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই স্টল-প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ করে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত স্টল সজ্জার কাজে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই স্টল-প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ শেষ করেছে। তবে এখনও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কাজ বাকি রয়েছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের মেলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, নির্মাণশ্রমিকরা জানান, রাতের মধ্যেই বাকি শেষ হয়ে যাবে। যারা কাজ শেষ করেছে, তাদের মধ্যে বাংলা একাডেমিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বই সাজিয়ে নিয়েছে। শেষ মুহূর্তে স্টল-প্যাভিলিয়নের সজ্জায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিষ্ঠানের মেলার বিক্রয়কর্মী, ইনচার্জ, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।

প্রতিবারের চেয়েও এবার মেলা একটু আগে গুছিয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিক্রয়কর্মীদের। তারা জানান, প্রতিবারের তুলনায় এবার মেলার বিন্যাস আরও সুন্দর হয়েছে, দেখতে গোছালো লাগছে।

নবযুগ প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী আসাদ তালুকদার বলেন, ‌‘এবার আগের বছরগুলোর তুলনায় মেলা বেশ গোছালো মনে হচ্ছে। মেলার বিন্যাসটাও ভালো লাগছে। আশা করছি আগের বছরগুলোর চাইতে আরও আগে মেলা জমে উঠবে।’

নবযুগ প্রকাশনী মেলার ইনচার্জ আমজাদ হোসেন আজ বিকালে বলেন, ‘আমাদের স্টলের সব কাজ সম্পন্ন। এখন বই এনে স্টল সাজানোর কাজ বাকি। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বই আসবে আমরা সাজানোর কাজ শুরু করবো। মেলার এবার আগে গুছিয়ে উঠবে বলে আশা করছি। এবারের মেলার বিন্যাসটা ভালো লেগেছে।’

গ্রন্থ রাজ্য প্রকাশের মেলার দায়িত্বরত কর্মকর্তা অনিক হাওলাদার বলেন, ‘মেলা কাল থেকে শুরু হচ্ছে, আর সেদিকে লক্ষ রেখে আমাদের প্রস্তুতি শেষ। আমরা সাজানোর কাজও প্রায় শেষ করে ফেলেছি।’

কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব স্টল-প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হলেও লিটলম্যাগ চত্বর একেবারেই অপ্রস্তুত। শেষ হয়নি স্টলের কোনও কাজ। সেখানে চার-পাঁচ নির্মাণশ্রমিক ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি।

নির্মাণশ্রমিকরা জানান, কাজ শেষ হতে আরও দুদিন লাগতে পারে। হয়তো ৩ বা ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে লিটলম্যাগ চত্বরে ম্যাগাজিন প্রকাশকরা আসবেন।