বইমেলায় লেখক

না বলা সাতটি গল্প নিয়ে তাসরিফের বই 'বাইশের বন্যা'

‘২০২২ সালের সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন ও মানুষদের সহযোগিতা করতে গিয়ে আমরা ডাকাতের কবলে পড়েছিলাম, একবার অ্যাক্সিডেন্ট করে মরতে বসে ছিলাম, আমাকে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল’, বলছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় গায়ক তাসরিফ খান। তার বাস্তব জীবনে এমন ঘটে যাওয়া কিছু আনটোল্ড সাতটা স্টোরি নিয়ে তিনি লিখেছেন তার প্রথম বই 'বাইশের বন্যা'। বুধবার (১লা ফেব্রুয়ারি) বইমেলার প্রথম দিনে ঘুরতে এসে বইয়ের পেছনের গল্প শোনান এই প্রতিবেদককে।

মূলত গত বছরের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া সাতটি গল্প নিয়েই প্রকাশিত হয়েছে ‘বাইশের বন্যা’। বইটি পড়লে ২০২২ সালের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানান তাসরিফ খান। তিনি বলেন, ‘পানিতে আগুন, তীর্থের কাক, ডাকাতের রাত, মৃত্যুর ডাক, অপহরণ, ভারী বাতাস ও আমরা চাইলেই সম্ভব এই সাতটি গল্প এখানে লেখা হয়েছে। কিংবদন্তি প্রকাশনী কর্তৃক বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইমেলার ৩৭৪-৭৫ নং স্টলে পাওয়া যাবে এই বইটি।’

বই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা সিলেটের বন্যা পরিস্থিতিতে একটানা ৬৫ দিন কাজ করেছি। আড়াই কোটি টাকার মতো ফান্ড ছিল। পাঁচশ’ অ্যাক্টিভ মেম্বার ওখানে কাজ করেছি। সবমিলিয়ে আড়াই হাজারেরও বেশি ভলেন্টিয়ার সেখানে কাজ করেছে। প্রথম ৩০ দিনে আমরা ১৮ হাজার পরিবারকে সহযোগিতা করেছি।‌ একেকটা পরিবারে ১২-১৫ দিনের খাবার দিয়েছি। ১৫৮টা পরিবারকে নতুন ঘর বানিয়ে দিয়েছি। বাইশের পুরো বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা এই বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

বাইশের বন্যা বইয়ের প্রচ্ছদ

বইমেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বইমেলা প্রাঙ্গণে আজ অনেক ভিড় ছিল। প্রথম দিনে বইমেলা আসতে পেরে খুব চমৎকার লাগছে। ভক্ত সমর্থকদের সেলফি তোলার আবদার একটু বেশি। বইও কিনছে সবাই। আশা করি আমার প্রথম বইটি ভক্ত সমর্থকদের মনে জায়গা করে নেবে এবং এ বছরে বেস্ট সেলার হবে।

তাসরিফ খান ১৯৯৪ সালের জুলাই মাসে নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় তাসরিফ। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক আর মা গৃহিণী। নেত্রকোনার অলিতে-গলিতে ছুটোছুটি আর খেলাধুলাতেই কেটেছে তার শৈশব-কৈশোর। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব একটা মনোযোগী ছিলেন না। গ্রাম থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পুরোদমে গান নিয়ে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে কুঁড়েঘর নামে একটি ব্যান্ড তৈরি করেন।