সাক্ষাৎকারে সোহেল রহমান

‘বই পড়ুন, সৃজনশীলতা বাড়বে’

বইমেলা মানেই সাহিত্যপ্রেমীদের মিলনমেলা। মেলায় প্রতিদিনই ঘুরতে, নিজের পছন্দের বই কিনতে আসেন পাঠকরা। লেখক-পাঠকদের সৌহার্দ্য বিনিময়ের কোলাহলে মুখর থাকে বইমেলা। পছন্দের লেখকের অটোগ্রাফ, সাথে সেলফিও তোলেন পাঠকরা।

পাঠকদের মতো লেখকদেরও থাকে মেলা নিয়ে নানান প্রত্যাশা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় বাংলা ট্রিবিউনের সাথে কথা হয় তরুণ লেখক সোহেল রহমানের।

এবারের বইমেলায় আপনার কটি বই এসেছে?

গল্পের বই ‘গ্রীণকফি’ এসেছে এবার।

বইটির বিষয় নিয়ে কিছু বলুন

বইটিতে চৌদ্দটি গল্প আছে, যার অধিকাংশই রম্যধর্মী। মূলত মিশ্র গল্পের সংকলন। রম্য ছাড়াও প্রেমের গল্প রয়েছে। যারা বই পড়ে আনন্দ পেতে চান, আশা করছি তাদের ভালো লাগবে।

এবার মেলার আয়োজন কেমন লাগছে?

আগের দু'বছর করোনা ও ব্যক্তিগত কারণে বইমেলায় আসতে পারিনি। অনেকদিন পর আবারও সুন্দর করে বইমেলা হচ্ছে। এসে, দেখে ভালোই লাগছে।

মেলা নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?

প্রত্যাশা অবশ্যই অনেক বেশি। সব লেখকের বই বেশি বিক্রি হোক, লেখক-পাঠকের মিলন মেলা হয়ে ওঠুক বইমেলা। চাইবো সবাই বেশি করে বই পড়ুক, বইয়ের কথা ছড়িয়ে দিক সবার মাঝে।

আপনার অন্য প্রকাশিত বই সম্পর্কে বলুন।

আগের বছর আমার একটি উপন্যাস এসেছিল। নাম ‘স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’।

মেলায় কী ধরনের অসঙ্গতি চোখে পড়ছে আপন?

তরুণ-তরুণীরা আগে যেমন বই পড়তো, বর্তমানে সেটা কমেছে। সবাই ফেসবুক-ইউটিউবে ব্যস্ত। মেলায় আসাদের অধিকাংশই ঘোরাফেরা করছে। এটাকে অসঙ্গতি বলা যেতে পারে। বাদবাকি সব ঠিক আছে।

লেখক হিসেবে পাঠকের জন্য কী বলবেন?

পাঠকের কাছে একটা বিষয়ই চাইবো—আপনারা বেশি করে বই পড়ুন৷ সেটি যারই হোক। বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অনেক বই আছে। আপনারা বইগুলো পড়ুন। বই পড়লে মনে প্রসারতা বাড়বে, সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।