তিনটি বই বিক্রি ও প্রদর্শনী না করার শর্তে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আয়োজিত বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে বলা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এ আবেদন জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। প্রকাশনীটির স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশনিটিকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চার জনকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র একটি বইয়ের জন্য কাগজে-কলমে মেলাতে পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ সে বইটি ব্যান্ড বা ব্ল্যাক লিস্টের নয়। বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩ অনুযায়ী তাদের এমন সিদ্ধান্তের কোনও বৈধতা নেই। একইসঙ্গে প্রতিবছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এমন সিদ্ধান্ত সংবিধানের বাক-স্বাধীনতার বিরোধী।
পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিতর্ক ওঠা তিনটি বই বিক্রি ও প্রদর্শনী না করার শর্তে একটি মুচলেকা দিতে নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ওই বই তিনটির কপি আদালতে জমা দিতে বলা হয়।
এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি তিনটি বই বিক্রি ও প্রদর্শনী না করার শর্তে বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।