মেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি

এবারের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনাগুলোর দেওয়া তথ্যমতে ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। গত বছর করোনাকালে এই বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫২ কোটি টাকা। তবে এই হিসাবকে বাস্তবসম্মত বলে মনে করছেন না মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সার্বিক প্রতিবেদন তুলে ধরে আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডা. কে. এম মুজাহিদুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্যের আলোকে মেলায় মোট ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এটা কতটুকু বাস্তবসম্মত সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করি। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলার স্টলে স্টলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। সেখানে কতিপয় প্রকাশনী তথ্য দেয়নি, কতিপয় প্রকাশনীর তথ্য বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়নি। তাই বাংলা একাডেমি এটি বাস্তব বিক্রির পরিমাণ বলে মনে করে না।

মেলার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ বলেন, এতদিন বলে আসছি সুন্দর আয়োজন। কিন্তু আজ বিদায়লগ্নে আমাদের মন খারাপ, সত্যিই খুব মন খারাপ। দীর্ঘ ১১ মাস অপেক্ষার পর আমরা এই মাসটি পাই। এবারের মেলা আগের যেকোনও মেলার চেয়ে ভালো ও সফল ছিল। এবার মেলায় আগত পাঠক-দর্শনার্থী ও প্রকাশক-বিক্রয়কর্মীরা যথেষ্ট স্মার্ট ছিলেন। বইমেলা এমন একটি জায়গা যেখানে দলমত নির্বিশেষে সবার মিলনমেলা। সেই পরিস্থিতি সবার মাঝে ছিল। এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, মেলায় আজকে বিদায়ের সুর। মেলা আয়োজন সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব এ এইচ লোকমান।

পুরস্কার প্রদান

এসময় সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিভিন্ন সাহিত্যিক ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ পেয়েছেন কেরোলীন রায় ও মোহাম্মদ জসিম মল্লিক। কেরোলীন রায় দেশের বাইরে থাকায় শুধু জসিম মল্লিকের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছেন মোহাম্মদ রফিক।

২০২২ বইমেলায় সর্বাধিক মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে আগামী প্রকাশনী। প্রকাশনীর পক্ষে স্বত্বাধিকারী ওসমান গনি পুরস্কার গ্রহণ করেন।

২০২৩ সালে মান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থ প্রকাশের জন্য মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে জার্নিম্যান বুকস, পাঞ্জেরি পাবলিকেশন, ঐতিহ্য প্রকাশ।

২০২২ সালে সর্বাধিক শিশুতোষ গ্রন্থ প্রকাশের জন্য রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছে ময়ূরপঙ্খি। সুন্দর স্টলের জন্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছে এক ইউনিট স্টলের জন্য উরকি, দুই-থেকে ইউনিট স্টলের জন্য নবান্ন প্রকাশনী ও প্যাভিলিয়নের জন্য পুথিনিলয় প্রকাশনী।