শিক্ষার্থী মৌমিতার মৃত্যু: তদন্তে হত্যার প্রমাণ মেলেনি   

দুই বছর আগে রাজধানীর কলাবাগানে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাজরিন মোস্তফা মৌমিতা মারা যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার পাঁচ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তদন্তে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের কোনও প্রমাণ না পায়নি পুলিশ। যে কারণে শিগগিরই তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সেখানে এ মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশের আবেদন করা হবে। 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আসামি আমির হামজা আদনানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তার কাছে থেকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ভুক্তভোগী মৌমিতা ছাদে ওঠার আগে বা পরে অন্য কেউ ছাদে ওঠেনি। মৌমিতা ছাদে উঠে নিচে লাফিয়ে পড়ে মারা যান। তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে- তদন্তে এ ধরনের কোন অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ। এ বিষয়টি ইতোমধ্যে মামলার বাদীকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। 

এ মামলার আসামিরা হলেন-ফরহাদ আহমেদ ফাইজার, আমির হামজা আদনান, তানভীর, ত্রিনয়ন ও অপরাজিতা। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারের সঙ্গে কলাবাগান ৮ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাততলা ভবনটির ছাদে ওঠেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিবার জানতে পারে, তাদের মেয়ে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন। 

ময়নাতদন্ত শেষে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১ মার্চ রাতে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামাল মোস্তফা খান শামীম বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।