সার্জেন্ট মোর্শেদার সহায়তায় রাস্তাতেই সন্তানের জন্ম

শুক্রবার ১০ মার্চ, বিকাল। ঘটনাটি নতুনবাজার এলাকার। প্রতিদিনের মতো ট্রাফিক ডিউটি করছিলেন সার্জেন্ট মোর্শেদা। দায়িত্বরত অবস্থায় ঢাকার চাকা পরিবহন কাউন্টারের একজন স্টাফ তাকে বলেন, ‘পাশেই একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’ এ কথা শোনার পর একটুও দেরি না করে তিনি দ্রুত ট্রাফিক কন্সটেবল তানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে  ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, সেই নারীর প্রসবব্যথা উঠছে। তিনি অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তার পাশে মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।

আশেপাশে কোনও ভবনও ছিল না যন্ত্রণাকাতর ওই নারীকে নেওয়ার মতো। এ অবস্থা দেখে সার্জেন্ট মোর্শেদা  ও কন্সটেবল তানিয়া দ্রুত বাস কাউন্টার থেকে কয়েকটি ছাতা নিয়ে আসেন। এ সময় চারপাশ ঘিরে দিয়ে এবং ওই নারীকে বাচ্চা প্রসবে সহযোগিতা করেন। কিছুক্ষণ পরে একটা ফুটফুটে বাচ্চা জন্ম নেয়।

কিন্তু তখনও নবজাতকের নাড়ি কাটা হয়নি। সার্জেন্ট মোর্শেদা ৯৯৯-এ কল করে দ্রুত একটা ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স এনে নবজাতকসহ প্রসূতি মাকে দ্রুত নিকটস্থ উপশম হসপিটাল পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে ওই হাসপাতালে  নবজাতক ও তার মা দুজনই সুস্থ আছেন।

গুলশানের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান রিয়েল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  ‘এরকম মহানুভবতা ও ভালো কাজের জন্য সার্জেন্ট মোর্শেদা ও কন্সটেবল তানিয়াকে ধন্যবাদ জানাই।’