তিস্তার উজানে ভারতের খাল খননের প্রতিবাদে বাপার মানববন্ধন

তিস্তার উজানে ভারত নতুন করে খাল খননের প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা)। শুক্রবার (১০ মার্চ) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।

এসময় তাদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো— তিস্তার উজানে ভারত কর্তৃক অবশিষ্ট পানি প্রত্যাহারের উদ্দেশ্যে নতুন করে খাল খনন বন্ধ করা; কার্যকর তিস্তা কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা; তিন্তার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা; টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব উপায় ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নদীর অববাহিকা ভিত্তিক পানির ন্যায্য হিস্যা প্রদান।

সভাপতির বক্তব্যে বাপা'র সহ-সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘তিস্তা-গঙ্গা ইস্যুতে ভারত যেটা করছে তা কখনও কোনও বন্ধু রাষ্ট্রের আচরণ হতে পারে না। তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে শুধু সুবিধা নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে দেবে না। সেটা আমাদের দেশের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবেই হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং দক্ষ পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমেই সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। তাই তিনি স্থানীয় জনগণ এবং জনপ্রতিনিধের এ বিষয়ে শক্তিশালী আন্দোলন ও জনমত গঠনের আহ্বান জানান। ভিস্তা-গঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে দেশের উত্তরবঙ্গ মরুভূমিতে পরিণত হবে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন।

বাপার কোষাধ্যক্ষ মহিদুল হক খান বলেন, ভারত আমাদের বঞ্চিত করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করে। আমাদের দেশের ট্রানজিট ব্যবহার করে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আর যখন তিস্তা-গঙ্গা ইস্যু আসে তখন তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারা কখনই আমাদের বন্ধু হবে পারে না। তিনি ২০০৪ সালের বাপা বেন এর সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে বলেন। সেই সম্মেলনে ভারতের নরমদা বাঁচাও আন্দোলনের নেতা মেধা পাটকারসহ অন্যান্য নেতারা এসে বলেছিলেন উভয় দেশের সমন্বয়ে ভিস্তা-গঙ্গার পানি চুক্তি হবে; কিন্তু সেটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।

এসময় বাপা'র সহ-সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, নির্বাহী সদস্য ও তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, বাপা নদী ও জলাশয় কর্মসূচি কমিটির সদস্য সচিব ড. হালিম দাদ খান, গ্রিন ভয়েসেরসহ সমন্বয়ক ও বাপা'র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে।