দেশের কল্যাণে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার বিজিবির

ব্যক্তি স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণ এবং বিজিবির  সুনাম বৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর পিলখানায় সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় শুক্রবার (১৭ মার্চ) তিনি এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী তাঁর পরিবারের সব সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব বীর শহীদ এবং বিজিবি'র ২ জন বীরশ্রেষ্ঠসহ আত্মোৎসর্গকারী ৮১৭ জন বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আজ বাঙালি জাতির জন্য একটা বিশেষ দিন। ১৯২০ সালের এই দিনে জাতির পিতার জন্ম না হলে হয়তো এখনও আমরা পশ্চিম পাকিস্তানের সেই পরাধীনতার শিকলে বন্দি থেকে যেতাম।’

জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর করণীয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে যে সুচিন্তিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেটি হৃদয়ে ধারণ করে বিজিবির ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষা করা, চোরাচালান বন্ধ করা, মাদকপাচার রোধসহ অন্যান্য সব দায়িত্ব দক্ষতা, সততা, ন্যায়, নীতি ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ  উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সঙ্গে বিজিবির ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ১৭ মার্চ সকালে পিলখানা বিজিবি সদর দফতরসহ সারাদেশে বিজিবি’র অন্যান্য সব ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)-এর তৃতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা হয়।