অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি

ব্রয়লার মুরগিসহ নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে জীবনযাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যুদ্ধসহ নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। ব্রয়লার মুরগিসহ নিত‍্যপণ‍্যের দাম বৃদ্ধিতে দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এ মানববন্ধন করে ক্যাব।

কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের (সিপিবি) জেনারেল সেক্রেটারি রুহিন হোসেইন প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের দেশে সরকার আছে, আইন আছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয়ও কম না। বাংলাদেশের কোটিপতির সংখ্যা বেশি। কিন্তু কেউ আবার না খেয়েও থাকছে। অনেকে মানুষ কম খেয়ে জীবনধারণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগি অনেকের চেহারা চিহ্নিত করে দিয়েছে। ব্রয়লার মুরগির আড়ালে বড় বড় লুটপাটকারী ব্যবসায়ীও আড়াল হয়ে গেলো।’ এ সময় তিনি চিনির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি জানান।

মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেওয়ার দাবি জানান রুহিন হোসেইন প্রিন্স। একইসঙ্গে স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে মধ্যস্থ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ও অসাধু ইমপোর্ট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার আহ্ববান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্ববায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কেন শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে না? ভোক্তাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও দোষীদের স্থায়ী শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যারা যুদ্ধের নামে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে লুটপাট করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে আরও ছিলেন ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।