আমাদের জনশক্তি মধ্যপ্রাচ্যকে দাঁড় করিয়েছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমরা নিয়মিত অভিবাসনকে গুরুত্ব দিই। কিন্তু আমরা গন্তব্য দেশগুলোতে নানা অসঙ্গতি দেখতে পাই। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যারা আমাদের অভিবাসী হওয়ার সহজাত যে প্রবণতা, তা ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছে। বড় বড় ফোরামে তারা যে প্রতিশ্রুতি রাখেন, সেগুলো তারা নিজেদের দেশে রাখতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন ২০২৩-এ তিনি এমন মন্তব্য করেন।

শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, আমাদের অভিবাসী কর্মীরা আমাদের দেশ ছাড়াও যে দেশে বসবাস করছেন সে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। আমার একটি পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, যেটা আমি সব সময় দাবি করি যে, আমাদের জনশক্তি মধ্যপ্রাচ্যকে দাঁড় করিয়েছে। পশ্চিমা দেশে আমাদের যে অভিবাসীরা আছেন তারা অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছেন।

ছবিতে বাঁয়ে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অভ্যন্তরীণ চাপে পড়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র আমাদের ওপরে অন্যায্য অনেক কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে। এই জায়গা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে। এজন্য আমরা জাতিসংঘের জোরালো ভূমিকা চাই।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, অভিবাসী কর্মীরা যা করছেন তার জন্য সব সময় স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন আছে। এই খাতের উন্নয়নে আমার জিহাদি মানসিকতা আছে, তবে আমার সক্ষমতা কম।

অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলনে ৩ জন প্রবাসীকে সোনার মানুষ সম্মাননা, দুইজন প্রবাসীর পরিবারকে সোনার মানুষ পরিবার সম্মাননা, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডকে সোনার মানুষ বিশেষ সেবা পুরস্কার, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল আলমকে এবং টাঙ্গাইলের গ্রিভেন্স ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে সোনার মানুষ সেবা পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন ইমরান আহমদ

সোনার মানুষ সম্মাননা প্রাপ্ত তিন প্রবাসী হচ্ছেন, টাঙ্গাইলের মো. নাজমুল তালুকদার, কুমিল্লার নুরুদ্দিন আহমেদ এবং কেরানীগঞ্জের মো. সলিমুল্লাহ।

সোনার মানুষ পরিবার সম্মাননা পাওয়া দুইজন টাঙ্গাইলের প্রবাসী কর্মীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা ও ময়মনসিংহের শিউলি ইসলাম।

অনুষ্ঠানে রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী সম্মিলনের উদ্দেশ্য উপস্থিত অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন। সম্মিলনে সম্মাননা ছাড়াও অভিবাসন খাতের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম প্রমুখ। এর আগে সকালে সম্মিলনের উদ্বোধন করেন সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এবং মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর।