আবেদ খানের দাবি করা বাড়ির নথি আপিল বিভাগে তলব

সাংবাদিক আবেদ খানের দাবি করা ধানমন্ডির ৩০০ কোটি টাকার বাড়ির মূল নথি তলব করেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৮ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

এর আগে রাজধানী ধানমন্ডির ২নং রোডের প্রায় ৩০০ কোটি দামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ২৯নং বাড়ির মালিকানা সরকারের বলে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে এই বাড়ির মালিকানা দাবি করে রিট দায়ের করায় সাংবাদিক আবেদ খানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল হাসেম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ধানমন্ডি ২নং রোডের আলোচিত ২৯নং বাড়ি ১৯৭২ সালে তৎকালীন মালিক পরিত্যাগ করে চলে যাওয়ায় সরকার পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। পরে ওই সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে মালিকানা দাবি করে তোয়াব খান, আবেদ খান ও অন্যরা প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্টে ১৯৮৯ সালে মামলা করেন। সাক্ষ্য ও পক্ষদ্বয়ের কাগজপত্র ও সরকারি নিবন্ধক দফতরের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্ট বর্ণিত সম্পত্তি সরকার আইনসঙ্গতভাবেই পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে দখল ও নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে রায় দেন।

তিনি আরও বলেন, ওই রায় বহাল থাকাবস্থায় এস. নেহাল আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৭ সালের আবেদন দেখিয়ে ১৯৯৬ সালে প্রথমে সেটেলমেন্ট কোর্টে মামলা করেন। তবে সে মামলায় সরকারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়নি। কেউ সাক্ষী না দিলেও বা সমর্থনীয় এবং আবশ্যকীয় কাগজপত্র দাখিল করা না হলেও নেহাল আহমেদ দাবিকারী ব্যক্তির পক্ষে রায় দেন প্রথম সেটেলমেন্ট কোর্ট।

পরবর্তীতে সেই রায় বাস্তবায়নে এস. নেহাল আহমেদ হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করেন। এই মামলাগুলোতে সরকারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্বক প্রকৃত তথ্য উপাত্ত দাখিল না করায় হাইকোর্ট পুনরায় এস. নেহাল আহমেদের পক্ষে রায় দেন। তবে সে রায়ের বিরুদ্ধে দেরিতে আপিল করা হয়েছে জানিয়ে আদালত আপিল তামাদি ঘোষণা করে তা খারিজ করে দেন।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের আবেদন জানানো হয়।