ক্ষতিপূরণ চেয়ে ফুডপান্ডাকে আইনি নোটিশ

অনলাইনে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডার কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ অফিস এবং এর কো-ফাউন্ডার আমবারিন রেজা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের সিদ্দিকীকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোটিশ প্রদানকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত রমজানে আমার (আইনজীবী সুমাইয়া আজিজ) বাসায় খাবার সরবরাহ করতে গিয়ে চুরি করেন ফুডপান্ডার ডেলিভারি ম্যান। কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে জবাব চেয়েছিলাম। গ্রাহক নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত আপনারা (নোটিশ গ্রহীতারা) কোনও জবাব দেননি।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ফুডপান্ডা কীভাবে ডেলিভারি ম্যান নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাদের অতীতের তথ্য কীভাবে যাচাই করছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য গ্রাহকদের কাছে নেই। এছাড়াও রাইডার বা ফুড ডেলিভারি ম্যানদের মাধ্যমে কোনও অপরাধ হলে গ্রাহক হিসেবে ফোনে কখনও ফুডপান্ডাকে পাওয়া যায় না। শুধু তাদের একটা চ্যাট বক্স আছে, সেখানে কোনও কিছু লিখে অভিযোগ জানানো যায়। তবে রাইডার বা ডেলিভারি ম্যান যদি কোনও অপরাধ করেন সেই মুহূর্তে ইমারজেন্সি সার্ভিস হিসেবে ফুডপান্ডার কোনও সেবা দেওয়ার সুযোগ কেন থাকবে না?

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে এক কোটির বেশির মানুষ বসবাস করছেন। ফুডপান্ডার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। শহরে প্রচুর কর্মজীবী পরিবার রয়েছে। যারা হয়তো ছোট বাচ্চাদের বাসায় রেখে আসেন। গৃহিণীদেরও অনেকে বাসায় একা সময় কাটান। বৃদ্ধ বাবা-মা থাকেন। যারা হয়তো ডিজিটালি পেমেন্ট করে পণ্য নিচ্ছেন। পণ্যটা ডেলিভারি ম্যান দিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নিরাপত্তা কোথায়?

নোটিশে ৩টি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ১. যার বাড়ি থেকে রাইডার চুরি করে পালিয়েছে তাকে যেন অবশ্যই ক্ষমা চেয়ে একটা পত্র দেওয়া হয়। এটা যেকোনও কোম্পানির দায়িত্ব। কিন্তু তারা সেটি করেননি। ফুডপান্ডা নিজেও অপরাধী হয়ে গেলো এ কাজের মাধ্যমে। ২. অভিযোগ শুনতে যেন একটি কাস্টমার কেয়ার খোলা হয় বা একটা নম্বর দেওয়া হয়। যাতে কাস্টমাররা তাদের অভিযোগগুলো জানাতে পারেন এবং ৩. হয়রানির জন্য সিকিউরিটি হিসেবে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও রিট মামলা দায়ের করা হবে।