শিল্পকলায় শেক্সপিয়ারের ‘হ্যামলেট’

বিশ্ববিখ্যাত নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ট্র্যাজেডি নাটক ‘হ্যামলেট’-এর দুই দিনের মঞ্চায়ন শুরু হয়েছে শিল্পকলা একাডেমিতে। একাডেমির প্রযোজনায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এই মঞ্চায়ন শুরু হয় আজ শুক্রবার (১৯ মে)। দ্বিতীয় দিন মঞ্চায়ন হবে আগামীকাল শনিবার (২০ মে)।

শেক্সপিয়ারের লেখা ‘হ্যামলেট’ বাংলায় ভাষান্তর করেছেন সৈয়দ শামসুল হক। নাটকটির নির্দেশনায় রয়েছেন আতাউর রহমান আর প্রযোজনা উপদেষ্টা শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

হ্যামলেট বা দ্য ট্র্যাজেডি অব হ্যামলেট, প্রিন্স অব ডেনমার্ক সংক্ষেপে হ্যামলেট ১৫৯৯ ও ১৬০১ সালের মাঝে রচনা করেন শেক্সপিয়ার। ২৯ হাজার ৫৫১টি শব্দের এই নাটকটি তার রচিত সবচেয়ে দীর্ঘতম নাটক। নাটকটি ডেনমার্ক সাম্রাজ্যের পটভূমিতে রচিত। যুবরাজ হ্যামলেট ও তার চাচা ক্লদিয়াসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধস্পৃহাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে নাটকটি।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, মাসউদ সুমন, শামীম সাগর, মেরিনা মিতু, আমিনুর রহমান মুকুল, শফিকুল ইসলাম শফিক, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মেহজাবিন মুমু, শরীফ সিরাজ, বাপ্পী আমিন, তৃপ্তি রানী মন্ডল, ফখরুজ্জামান চৌধুরী, সাঈদ রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মণ্ডল প্রমুখ।

এদিকে প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্মরণে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিচিত্রার সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদের সম্পাদনায় প্রায় ৪৫০ পৃষ্ঠার স্মারক গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা আরপি বাংলা কমিউনিকেশন।

এতে আবুল মাল আবদুল মুহিতের বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক নিয়ে তার সহকর্মী, বন্ধু-সুহৃদ এবং পরিবারের সদস্যরা লিখেছেন। শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই স্মারক গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভার সার্বিক সহযোগিতায় ছিল এ এম এ মুহিত ট্রাস্ট।

প্রকাশনা উৎসবে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন প্রমুখ।

স্পিকার বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত অত্যন্ত মেধাবী ও চিন্তাশীল একজন মানুষ ছিলেন, তিনি ভবিষ্যতের কথাও ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারতেন। এই বইটিতে তার ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক প্রকাশ পেয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের লেখার মধ্য দিয়ে তার সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক ছিল, সেগুলোই ফুটে উঠেছে। আমরা এই মানুষটিকে বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে জানার ও বোঝার সুযোগ পাচ্ছি। যারা তার ব্যক্তিগত সান্নিধ্যে আসতে পারেননি অর্থাৎ নতুন প্রজন্ম তারাও এই বইটি পড়ে তাকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আমলা হিসেবে তার বৈশিষ্ট্যগুলো জানতে পারবে। সেই কারণেই এই বইটি অমূল্য ও বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার।

 এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজসহ আবুল মাল আবদুল মুহিতের বন্ধু, সুহৃদ এবং তার পেশাগত ও রাজনৈতিক সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যরা।