বাংলা ট্রিবিউনে বিটিসিএল নিয়ে সংবাদ প্রকাশ, দুই পক্ষের বক্তব্য

বাংলা ট্রিবিউনে গত ১৮ মে প্রকাশিত ‘বিটিসিএলের কাজ মানেই জেডটিই, পেছনে কারা?’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিয়ে বিটিসিএল (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড) তাদের বক্তব্য পাঠিয়েছে। বিটিসিএল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হলো— ‘২০০৮ সালে বিসিটিএল গঠনের পর এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়। এরমধ্যে জেডটিই ৩টি কার্যাদেশ লাভ করে। সুতরাং, বিটিসিএল’র কাজ মানেই জেডটিই কথাটি সঠিক নয়।’

নিম্নমানের যন্ত্রাংশের বিষয়ে বিটিসিএল বলেছে, ‘প্রকল্পের আওতায় ২ বছরের ওয়ারেন্টি রয়েছে। ফলে যেসব যন্ত্রাংশ খারাপ হয়েছে, জেডটিই নিজ দায়িত্বে তা মেরামত বা প্রতিস্থাপন করে দিচ্ছে।’

ফাইভ-জি রেডিনেস প্রকল্পে অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের দেরির পরিপ্রেক্ষিতে বিটিসিএলের বক্তব্য— ‘একটি দরপত্র প্রক্রিয়াকরণে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা সম্পৃক্ত হন। কাজের পরিধি বিবেচনায় বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন পরিমাণ সময় (কর্ম দিবস) প্রয়োজন হতে পারে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’

তবে বিটিসিএল থেকে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনেক বিষয়ের কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।  

দেলোয়ার হোসেন ফারুকের বক্তব্য

গত ১৮ মে প্রকাশিত ‘বিটিসিএলের কাজ মানেই জেডটিই, পেছনে কারা?’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে জেডটিই থেকে সুবিধাভোগী হিসেবে প্রকাশ হয়েছে রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ফারুকের নাম। তিনি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি প্রতিবাদপত্রে বলেছেন, ‘প্রকাশিত সংবাদটি অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন  এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’ তার দাবি, বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত ঘটনাবলির সঙ্গে তিনি জড়িত নন। জেডটিই’র সঙ্গে তার কোনও ব্যবসা নেই। প্রতিবেদনে যে দুই জন কর্তকর্তার কথা বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে দেলোয়ার হোসেন ফারুকের কোনও ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই এবং প্রতিবেদনে উল্লিখিত সেই সময়ে (২০১৬) তিনি একবারের জন্যও বিটিসিএল অফিসে যাননি বলে দাবি করেছেন।  

বাংলা ট্রিবিউনের বক্তব্য

প্রকাশিত প্রতিবেদনটি (বিটিসিএলের কাজ মানেই জেডটিই, পেছনে কারা?’) সব ধরনের নিয়ম অনুসরণ করেই তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। কারও কারও বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনটি কাউকে হেয় করার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়নি। বিটিসিএল’র বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে যা ঘটেছে, তা যথাযথভাবে যাচাই করেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।