বরেণ্য সংগীতজ্ঞদের স্মরণ করলো শিল্পকলা একাডেমি

দেশের বরেণ্য শিল্পী, সুরকার, সংগীতজ্ঞ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, খন্দকার নুরুল আলম, আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ ও উদয় শংকর রায়কে স্মরণ বাংলাদেশ করলো শিল্পকলা একাডেমি।

সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যায় একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পকলা একাডেমির এই আয়োজনে বিশিষ্ট বাঙালি কবি, নাট্যকার ও সংগীতস্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এবং স্বনামধন্য বাংলাদেশি সংগীত পরিচালক ও সুরকার খন্দকার নুরুল আলম স্মরণে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হয়েছে। ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’আয়োজনের প্রথম দিনে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহনাজ নাসরিন ইলা।

এ দিন খন্দকার নুরুল আলম স্মরণে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সরকারি সংগীত কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. কমল খালিদ। আলোচনায় অংশ নেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) শামীম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের প্রভাষক মেহফুজ আল ফাহাদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করছেন শিল্পীরা

বক্তারা বলেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুরনো গান যেগুলো রেকর্ড করা আছে সেগুলোর স্বরলিপি করা হলে তা সংরক্ষিত থাকবে। এ ছাড়া হাসির গানগুলো সংরক্ষণ করা হলে তরুণ প্রজন্মও আগ্রহ নিয়ে গাইবে।

তারা আরও বলেন, গানের মধ্যে প্রবল হাস্যরসের মাধ্যমেও যে বার্তা দেওয়া যায় তা সৃষ্টি করেছেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। তিনি গেয়েছেন– ‘এমন চাঁদের আলো মরি যদি সেও ভালো..’ এসব সুর সংরক্ষণে তিনি কিছুটা উদাসীন ছিলেন। এ প্রজন্মের জন্য তা সংরক্ষণের তাগিদ দেন আলোচকরা।

সালাহউদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা পর্বের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় স্মরণে শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। তিনি পরিবেশন করেন ‘সে কেন দেখা দিলো’ ও ‘আজি নুতন রতনে’। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও সংগীতশিল্পী ড. অণিমা রায় পরিবেশন করেন ‘ধন ধান্য পুস্প ভরা’ ও ‘আজি এসেছি এসেছি’। আফরোজা খান মিতা পরিবেশন করেন ‘মম মনের বিজনে’ও আজি তোমার কাছে ভাসিয়া যায়’এবং হিমাদ্রী রায় পরিবেশন করেন ‘বেলা বয়ে যায়’।

খন্দকার নুরুল আলম স্মরণে সংগীতশিল্পী স্বরলিপি পরিবেশন করেন ‘এক বরষার বৃষ্টিতে ভিজে’, সাবরিনা নওশিন টুশি পরিবেশন করেন ‘জনম জনম গেল’ ও ‘ওই রাত জাগে’ (দ্বৈত গান), এম এ মোমিন পরিবশেন করেন ‘তুমি এমন জাল পেতেছো সংসারে’ ও ‘এ আঁধার কখনও যাবে না মুছে’ এবং সোহনুর রহমান সোহানের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘চোখ যে মনের কথা বলে’ ও ‘ওই রাত জাগে (দ্বৈত গান)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইমামুর রশিদ এবং আযহারুল ইসলাম রনি।