মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলা

ছাত্র অধিকারের ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর আসামিরা কাউকে কিছু না জানিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে নৈরাজ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল বক্তব্য ও স্লোগান দেন। সরকার, সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও বক্তব্য দেন তারা। তখন প্রতিবাদ করলে আসামিরা রড, হকিস্টিক, বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এসময় আসামিরা সাড়ে ১০ হাজার টাকা চুরি করে নেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেই সমাবেশে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে থাকা চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ব্যানার-ফেস্টুনও। এতে পণ্ড হয়ে যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ডাকা সমাবেশ।

এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর ছাত্রলীগের নেতা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৫ জনকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।