কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পায়নি র‌্যাব

র‌্যাপিয অ্যাকশন ব্যটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের হামলা বা নাশকতা চালানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি সব পর্যায়ে অব্যাহত রেখেছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারা দেশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। র‌্যাবের প্রতিটি ব্যাটেলিয়ান নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে।  তিনি আরও জানান, এবছর পশুবাহী গাড়ি বা হাটে চাঁদাবাজির তেমন কোনও অভিযোগ আসেনি র‌্যাবের কাছে।

বুধবার (২৮ জুন) রাজধানীতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র‌্যাব মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজধানীর ঈদগাহ এবং গরুর হাট সহ দেশব্যাপী ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে র‌্যাবের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীতে যেসব পশুবাহী গাড়ি এসেছে, বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে থাকে এসব বিষয়ে আমরা নজরদারি করেছি। আমার মনে হয় এ বছর তেমন কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। বাকিটা আপনারা সাংবাদিকরা আরও বেশি ভালো বলতে পারবেন।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, র‌্যাব সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যেন গুজব ছড়িয়ে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সাইবার মনিটরিং জোরদার রাখা হয়েছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, অনলাইন কেনাবেচার ক্ষেত্রেও সাইবার মনিটরিং জোরদার রাখা হয়েছে। যখনই কোনও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্রেতাদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান, অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়ে সতর্ক থাকতে।

সারাদেশে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, অবজারভেশন পোস্ট, স্ক্যানার চেকপোস্ট, সিসিটিভি মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ক্যামেরাও সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া ডগ স্কোয়াড বোম ডিসপোজাল ইউনিট হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায়, জানান তিনি।

খুরশীদ হোসেন বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যারা বাড়ি যাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সড়ক রেল ও নৌপথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গরুর হাটে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। গরু মোটাতাজাকরণের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। মলম পার্টি অজ্ঞান পার্টি ছিনতাইকারী চক্রের বেশ কিছু সদস্যদের গ্রেফতার করার হয়েছে।