বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

বর ও কনে পক্ষকে নানা কায়দায় প্ররোচিত করে কাবিনামায় বয়স জালিয়াতি করে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হুলিয়ারপুর জামেয়া কাসেমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে। তিনি অনৈতিক এমন আরও অনেক কাজ করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয় উত্থাপন করে কেনও তার এমপিও বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর।

রবিবার (২ জুলাই) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, এসব অভিযোগে গত ২৫ জুন অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজকে কারণ দর্শাতে নোটিশ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হুলিয়ারপুর জামেয়া কাসেমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মইনুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে কাবিননামা তৈরিতে জালিয়াতি, বাল্যবিবাহ, দেনমোহরের টাকা কমবেশি করা, বর ও কনে পক্ষকে নানা কায়দায় প্ররোচিত করে বিবাহ দেওয়া এবং বিবাহ বিচ্ছেদকরণ, নারীদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। যা চাকরিবিধি পরিপন্থী এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

নোটিশে এই কার্যকলাপের জন্য কেন এমপিও (বেতন-ভাতার) সরকারি অংশ স্থগিত, স্থায়ীভাবে বন্ধ এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে না সে মর্মে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিধি মোতাকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।