ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে গাড়িতে হামলার অভিযোগ করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি জানান, তার গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরের দিকে রাজধানীর মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রের সামনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন। এর আগে ভোটের আড়াই ঘণ্টা না পেরোতেই নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এই প্রার্থী।
তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা ভোট প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের একজন এজেন্টকে ভাসানটেক বস্তিতে মারধর করা হয়েছিল, সেখানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আসার পথে একদল কুচক্রী আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। যারা আমাদের ওপর হামলা করে তারা সবাই নৌকার ব্যাজধারী ছিল। কাজেই আমরা আমাদের জানের নিরাপত্তা নিয়ে সেখান থেকে দ্রুত চলে আসি।’
নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে পুলিশ প্রটেকশন চেয়েছিলাম। তারা আমাদের পুলিশ প্রটেকশন দেয়নি। তাই আমরা ভোটের মাঠ থেকে সরে গিয়েছি এবং এই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করেছি।’
ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি।
আসনটিতে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আট জন। এরমধ্যে তিন প্রার্থীকে এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় ভোটাররা। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম)। তাদের তিন জনের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছে ভোটাররা।
উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া আট জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে অন্যরা হলেন—জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন।
আরও পড়ুন: