২৫ জুলাই থেকে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধের ঘোষণা

সেবা খাতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রাইভেট কারের আয়কর বিআরটিএ কর্তৃক (এটিআই) না নেওয়াসহ ছয় দফা দাবি না মানলে আগামী ২৫ জুলাই থেকে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স চালাতে অস্বীকৃতি জানান বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির নেতারা।

তারা বলেন, আমাদের দাবি যদি সরকার মেনে নেয়, তাহলে আমরা কর্মসূচি বাতিল করবো। আমরা কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নই, কোনও সরকারবিরোধী আন্দোলনও করছি না। আমরা মানবসেবামূলক কাজ করে থাকি। তাই বলতে চাই, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। যেন আবার সারা দেশে সেবা পৌঁছে দিতে পারি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা।

সংগঠনের ছয় দফা দাবি হচ্ছে, সেবা খাতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রাইভেট কারের আয়কর বিআরটিএ কর্তৃক (এআইটি) নেওয়া চলবে না; অ্যাম্বুলেন্সের জাতীয় নীতিমালা; টোল ফ্রি বাস্তবায়ন; হাসপাতালগুলোয় পার্কিং সুবিধা; রোগী থাকা অবস্থায় দ্রুত গ্যাস এবং সড়কে হয়রানিমুক্ত চলাচল।

মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল মাতব্বর বলেন, অ্যাম্বুলেন্স এমন একটি সেবা খাত, যেটা বাংলাদেশের বিআরটিএ কর্তৃক অবহেলিত। আমরা এই অবহেলা থেকে পরিত্রাণ চাই। জাপান থেকে আমরা অ্যাম্বুলেন্স আমদানি করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে। বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেই, অথচ আয়কর দেওয়ার সময় দিতে হয় প্রাইভেট গাড়ি হিসেবে।

তিনি বলেন, হাসপাতাল ও ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে আয়কর নেওয়া হয় মাত্র ৫২ টাকা। অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অতীতে নেওয়া হতো ৩০ হাজার টাকা, এ বছর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সেবা খাতে একই দেশে দুই ধরনের আইন কী করে হয়, সেটা আমাদের বোধগাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরে ঘুরেও আমরা এর কোনও প্রতিকার পাইনি। জাতীয় নীতিমালার দাবিতে সারা দেশে মানববন্ধন করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হলেও সমাধান হয়নি। আজ আমরা এত বড় ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি। তাই আমরা বলছি, যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আগামী ২৫ জুলাই থেকে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকবে। যে পর্যন্ত দাবি মেনে না নেবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মো. দবির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জল হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।